ভারতের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভারতের ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা’

প্রকাশিত: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫

ভারতের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভারতের ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, ভারত রাশিয়ান তেল কেনার পরিমাণ সীমিত করতে সম্মত হয়েছে। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত যদি তার শর্ত না মানে এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করে, তবে ‘বিপুল পরিমাণ শুল্ক’ আরোপ করা হবে ভারতীয় পণ্যের ওপর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ট্রাম্প বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন ‘রাশিয়ান তেল’ বিষয়টা আর করবেন না। গত সপ্তাহেও এই একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
তখন ট্রাম্পের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে ভারত জানিয়েছিল, রাশিয়ান তেল আমদানি নিয়ে ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো টেলিফোন আলাপ হয়নি। ভারতের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, যদি তারা এটা বলতে চায়, তাহলে তাদের ‘বিপুল পরিমাণ শুল্ক’ দিতে হবে, আর তারা নিশ্চয়ই সেটা চাইবে না।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। ওয়াশিংটনের মতে, রাশিয়ার তেলবাণিজ্য মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে। রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো যখন তেল কেনা বন্ধ করে ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন থেকেই ভারত ছাড়কৃত মূল্যে সমুদ্রপথে বিক্রি হওয়া রাশিয়ান তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতায় পরিণত হয়। ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই ভারতের এক বৃহৎ রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে।

এটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এই শুল্কের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনের জন্য ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা, যা ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থের প্রধান উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প বারবার বলেছেন, ভারত যদি মস্কোর সঙ্গে তেলের ব্যবসা চালিয়ে যায়, তবে এই শুল্ক বহাল থাকবে, এমনকি আরও বাড়ানো হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধ করবে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই দাবি নাকচ করে বলেছে, ওই দিনে দুই নেতার মধ্যে কোনো ফোনালাপের খবর তাদের জানা নেই। তারা আরও বলেছে, ভারতের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভারতের ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা।’