ঢাকা ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এলিজাবেথ ডেভিস। প্রথম দুই স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি এ কাজ করেন। তারপর ইসলাম গ্রহণ করে নতুন জীবনসঙ্গী খুঁজতে থাকেন। এমন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার জীবনে আসে একজন পুরুষ। তিনি জিহাদ আল শামি। পরিচয়ের পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এলিজাবেথ বলেন, এরপর জিহাদ তাকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু জিহাদ আল শামি ছিলেন কট্টর। তিনি তার স্ত্রী এলিজাবেথকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কাছে শুধুই যৌন সুবিধা চাইতেন। এলিজাবেথের আগের সম্পর্কের সন্তানরা ধর্মান্তরিত হয়নি। ফলে তারা পশ্চিমা ধাঁচের খোলামেলা পোশাক পরে বাইরে যাওয়া-আসা করে।এটাও তার পছন্দ হয়নি। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই জিহাদ আল শামিই ম্যানচেস্টারের হিটন পার্কে সিনাগগে হামলা চালায়। এসব নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, এলিজাবেথ ডেভিস যখন ম্যানচেস্টারের হিটন পার্কে সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) হামলার খবর শুনলেন, তখনই তিনি টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ চালু করলেন। পর্দায় থাকা ঝাপসা হামলাকারীর ছবিটি দেখেই মুহূর্তে চিনে ফেললেন। হাতে অস্ত্র উঁচিয়ে, শরীরে ‘সুইসাইড বেল্ট’ পরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ব্যক্তিকে ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র পুলিশ। তাকে দেখে এলিজাবেথের বুক হিম হয়ে গেল। কারণ টিভির পর্দায় তাকিয়ে থাকা মানুষটি আর কেউ নয়, তার কার থেকে দূরে থাকা স্বামী জিহাদ আল-শামি তিনি। তিন দিন আগেই জিহাদ তাকে বলেছিল, আমি ছুটিতে যাচ্ছি।
জিহাদ আল-শামির সঙ্গে এলিজাবেথের মাত্র এক বছরের বিবাহিত জীবন ছিল। কিন্তু বছরটা ছিল অশান্তি, ভয় আর নির্যাতনে ভরা। এই সম্পর্ক নিয়ে এলিজাবেথের পরিবার ও বন্ধুরা শুরু থেকেই ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি তখনও হুঁশ ফিরে পাননি যে, যাকে একসময় ভালোবেসেছিলেন, সেই মানুষই ধর্মের নামে একটি ইহুদি উপাসনালয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এমন সময় হঠাৎ তার বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র পুলিশ।
পরের দৃশ্যটি তার এখনো স্পষ্ট মনে আছে- সামনে তাক করা বন্দুক, আর চিৎকার করে বলা আদেশ: ‘হাঁটু গেড়ে বসো!’ পরে পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন এলিজাবেথ। এখন তিনি নীরবতা ভেঙে নিজের ভয়াবহ জীবনের কথা বলেছেন ডেইলি মেইলকে।
৪৬ বছর বয়সী পাঁচ সন্তানের মা এলিজাবেথ একসময় বৃটেনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি মুসলমান হয়েছিলেন স্বেচ্ছায় এবং সেখানেই তিনি অনলাইনে আল-শামির সঙ্গে পরিচিত হন ইসলামী ডেটিং অ্যাপ মাজম্যাচ (বর্তমানে মুজ)-এর মাধ্যমে। তার কথায়, জিহাদ ছিল অতি মাত্রায় যৌন আসক্ত এবং নিয়ন্ত্রণপ্রিয়। এ বছরের শুরুতে যখন সে বুপা থেকে চাকরি হারায়, তখন থেকেই আরও অস্থির, বিচ্ছিন্ন এবং ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে।
Design and developed by sylhetalltimenews.com