ঢাকা ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৫
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া:ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত যে কোন সংক্রামক রোগ শিশুদের উপর স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখে, এমনকি শিশুদ মৃত্যুও হতে পারে।
টিকা হচ্ছে এ ধরণের রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা।টিকা গ্রহণের মাধ্যমে আজকের শিশু হবে ভবিষ্যতের সুস্থ নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়ের পরামর্শমূলক কর্মশালায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা সহজেই জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারেন। জনগণের কাছে তাঁদের বক্তব্য, লেখনীর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তাই টাইফয়েড টিকা নিয়ে সব ধরণের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং গুজব ও অপতথ্য মোকাবেলায় অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিশু-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সুস্থ ভবিষ্যত প্রজন্ম গঠনে রাষ্ট্রের একটি উদ্যোগ। টিকাদান বিষয়ে গুজব মোকাবেলা করে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কর্মশালায় অন্যান্য অতিথির মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন ও ইউনিসেফের সিলেট অঞ্চলের প্রধান কাজী দিল আফরোজ ইসলাম। এছাড়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, সিলেট জেলা তথ্য অফিস, আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকরা টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজব প্রতিরোধে বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যা, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে ৬৭.০২ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ শতাংশ শিশু এবং স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায় মিলিয়ে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ শিশুকে ইতিমধ্যে টিকাদান করা হয়েছে। সিলেট বিভাগে প্রায় ৩০ লক্ষ শিশুকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Design and developed by sylhetalltimenews.com