ঢাকা ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
সিলেট অলটাইম নিউজ:
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানের সামনে পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাইযোদ্ধা’ পরিচয়ে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা গণতন্ত্রকে সাহায্য করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও হুমায়ুন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন গঠিত নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসাইন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা আনফরচুনেট ইনসিডেন্ট ঘটেছে যে, শুক্রবার ছেলেরা একটা গ্রুপ তারা এখানে (সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানের সামনে) এসে বসে যায়। তারপর একটা আনফরচুনেট ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং ছাত্রদের মধ্যে একটা, আপনার বলা যেতে পারে যে- একটা ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে এ ধরনের ঘটনাগুলো গণতন্ত্রকে সাহায্য করবে না। আমার মনে হয় যে, সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত, কারণ এটা কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকার এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছে, তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছে। আমরা যে যতই বলি, এক বছরের মধ্যে সমস্ত জঞ্জালগুলো শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে যে গার্বেজ তৈরি করে গেছে, যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে- সেগুলোকে এক বছরের মধ্যে সব ঠিক করে ফেলা, এটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যে পার্লামেন্ট আসবে, সেই পার্লামেন্টারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সেই দিকে আমাদেরকে নজর দিতে হবে। সমস্ত কর্মকাণ্ডকে পার্লামেন্ট কেন্দ্রিক করতে হবে। এটা না করলে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি ফাংশন করবে না, এ কথাগুলো আমাদের বুঝতে হবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পার্লামেন্ট ডেমোক্রেসি সফল হয়েছে, সবগুলোতে কিন্তু পার্লামেন্ট হচ্ছে কেন্দ্রবিন্দু রাজনীতির, সেখানে (সংসদ) করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাস্তা থেকে উঠে চলে আসতে হবে পার্লামেন্টে। আর কতোদিন রাস্তায় থাকবেন? ৫০ বছর তো আমরা রাস্তায় চলছি। এগুলোকে ঠিক করে, এই জাতীয় সনদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে যেন আমরা একটা কালচারে পরিণত করতে পারি, সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন যেন অনুষ্ঠিত হয়, সবাই যেন অংশগ্রহণ করে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাবো, আসুন আমরা সবাই যেভাবে ছোটখাটো আমাদের ভিন্নতা, যে দূরত্ব আছে- সেটা দূর করে যেভাবে আমরা ও আপনারা সনদ স্বাক্ষর করতে পেরেছি, আসুন আগামী নির্বাচন আমরা সেইভাবে আমাদের দূরত্বকে দূর করে আমরা নির্বাচনটাকে সত্যিকার অর্থেই একটা অর্থপূর্ণ নির্বাচনে পরিণত করি।
তিনি বলেন, একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সেই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা আমাদের পার্লামেন্টকে সত্যিকার অর্থে প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলবেন, অর্থবহ করবেন এবং সেই পার্লামেন্ট হবে আমাদের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু। এভাবে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। গণতন্ত্রকে যদি আমরা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হই, তাহলে আমার ধারণা ও বিশ্বাস- সেখানে সকল শ্রেণি, শ্রমিক শ্রেণির দাবি-দাওয়া পূরণ হবে এবং স্বীকৃত হবে।
Design and developed by sylhetalltimenews.com