ঢাকা ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৫

অলটাইম নিউজ ডেস্ক ::
ছোট ছোট বদভ্যাসের কারণে ক্রমে নষ্ট হতে পারে কিডনি। সকালে প্রস্রাবের চাপে পেট ফেটে আসে। তারপরেও কেউ কেউ বিছানা ছাড়তে চান না, প্রস্রাব চেপে রাখেন। একে কিডনির ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে পরবর্তীকালে অঙ্গটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। কিডনি ভালো রাখতে গেলে কোন কোন বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে জেনে নিন।
সকালে পানি পান না করা
রাতে খাবার খাওয়ার পর থেকে সকাল হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণের বিরতি থাকে। সকালের দিকে শরীর প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে আদ্রতা ফিরিয়ে দিতে সকালে পানি পান করা উচিত। অনেকে পানি পান করার পরিবর্তে চা-কফির মতো গরম পানীয়তে চুমুক দিতে পছন্দ করেন। তাতে কিন্তু শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকা
শুধু বিছানা ছেড়ে উঠতে চান বলে অনেকে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণা সারা রাত ধরে মূত্রাশয়ে প্রস্রাব জমে। ঘুম ভাঙার পরেইই মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় তা খালি করার। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকলে উল্টে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয়ই বেশি।
খালি পেটে পেনকিলার খাওয়া
ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর, খালি পেটে পেইনকিলার খাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর।চিকিৎসকরা বলছেন, পেনকিলার ওষুধের ডোজ নির্ভর করে রোগীর বয়স, ওজন এবং ব্যথা-যন্ত্রণার তীব্রতা এবং প্রকারভেদের ওপর। তা ছাড়াও রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই এই জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই খাওয়া যায় না।
শরীর আর্দ্র না রাখা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে পানি এবং খনিজ বেরিয়ে যায়। তাই ব্যায়াম করার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই শরীরে পানির জোগান দেওয়া জরুরি। কিডনি থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশন-জাতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে পানি।
সকালে নাস্তা না খাওয়া
তাড়াহুড়োর কারণে অনেকেই সকালের নাস্তা গ্রহণ করেন না। এই অভ্যাসটিও কিন্তু কিডনির জন্য খারাপ। দিনের শুরুতে অর্থাৎ, সকালের নাস্তায় যদি প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ব্যালান্সড ডায়েট থাকে শরীর সব রকম পুষ্টি পায়। কাজেও এনার্জি আসে। আবার, কিডনির ওপর আলাদা করে কোনও রকম চাপ পড়ে না।
‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন’—এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিডনি ভালো রাখার বেশ কয়েকটি উপায় জানিয়ে দিয়েছে।
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
৩. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না
৪. NSAID- নামক ব্যথানাশক ওষুধ সেবণ করা যাবে না
৫. পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে
৬. ফ্লুর টিকা গ্রহণ করতে হবে
Design and developed by sylhetalltimenews.com